প্রিয় { বন্ধুরা }
আজ আমরা দেখব
সর্বকালের সেরা ৬টি কোরিয়ান সিনেমা, না দেখলে বেঁচে থাকা বৃথা | Top 6 korean Movies !
কোরিয়ার সমৃদ্ধ বিনোদনের বাজারের বড় অংশজুড়ে সিনেমার প্রভাব। জনপ্রিয় ঘরানার বেশির ভাগ কোরীয় ছবি টান টান রোমাঞ্চকর ঘটনাপ্রবাহ দিয়ে আপনাকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে। তাদের ভৌতিক, থ্রিলার, অ্যাকশন ঘরানার ছবিগুলো তো হরহামেশাই হলিউডের বড় বড় নির্মাতা ও প্রযোজকেরা অনুসরণ করছেন। এমনই বিশ্ব সেরা {ছয়টি} কোরীয় সিনেমা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের ভিডিও , তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক ঃ
৬ নাম্বারে রয়েছে ঃ ট্রেন টু বুসান -Train to Busan- রোমাঞ্চকর এক যাত্রা ঃ
কোরীয় চলচ্চিত্রের সঙ্গে অনেকেরই পরিচয় হয়েছে ট্রেন টু বুসান দিয়ে। জম্বি কাহিনি নিয়ে বানানো হলিউডের ছবিগুলো যদি আপনার কাছে একঘেয়ে লাগতে শুরু করে, তাহলে স্বাদ বদলের জন্য দেখে ফেলুন এই ছবি। সিয়োক-য়ু ও সু-আন, বাপ-বেটির সঙ্গে আপনিও চড়ে বসুন ভয় আর আবেগমিশ্রিত এক রোমাঞ্চকর ট্রেনে!
সারা শহর তখন জম্বি দখলে। এরই মধ্যে সিয়োক-য়ু ও সু-আন যাচ্ছে বুসানে। জম্বি আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করে তারা কি শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে? জানতে হলে ১ ঘণ্টা ৫৮ মিনিটের ছবিটি আপনাকে দেখে ফেলতে হবে। ট্রেন টু বুসান পরিচালনা করেছেন ইয়ন স্যাং-হো।
৫নাম্বারে রয়েছে ঃ {এ মোমেন্ট টু রিমেম্বার} -a moment to remember
অনেকেই তাঁদের দেখা সেরা রোমান্টিক ছবির তালিকায় এ মোমেন্ট টু রিমেম্বারকে ওপরের দিকে রাখেন। ছবিটি অবশ্য সে রকম একটা অবস্থানই দাবি করে। ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া এ মোমেন্ট টু রিমেম্বারে বলা হয়েছে চুল-সু ও সু জিন নামে দুই তরুণ-তরুণীর গল্প। ভালোবেসে বিয়ে করে দুজন। ছবির গল্প মোড় নেয় তখন, যখন সু জিনের {আলঝেইমার} ধরা পড়ে। একে একে সবকিছুই ভুলে যেতে থাকে সে, এমনকি প্রিয়তম স্বামীর মুখটাও! স্ত্রী সবকিছু ভুলে গেছে জেনেও তার হাত ছাড়ে না চুল-সু, সে ঠিকই পাশে থাকতে চায়। ছবি শেষেও আপনার ঘোর কাটতে সময় লাগবে মূলত তিনটি কারণে—প্রথমত, চমৎকার আবহসংগীত। দ্বিতীয়ত, মূল চরিত্রে থাকা জাং য়ু-সাং এবং সন য়ি-জিনের অভিনয়। তৃতীয়ত—ছবির দুর্দান্ত সমাপ্তি।
৪নাম্বারে রয়েছে ঃওল্ড বয় - Oldboy
ওল্ড বয় দেখে অবধারিতভাবেই আপনি ভাববেন—একটা গল্প এমনও হতে পারে! কিছু কিছু ছবি আছে, যা সিনেমা সম্পর্কে আমাদের ধারণা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান আমূল পাল্টে দেয়। ওল্ড বয় সে রকমই একটি ছবি।
ছবির শুরুতেই কে বা কারা যেন অপহরণ করে নিয়ে যায় ছবির প্রধান চরিত্র ডে-সুকে। একটা ছোট্ট ঘরে আটকে রাখা হয় তাকে। সঙ্গী কেবল একটা টেলিভিশন। বদ্ধ ঘরে একটা টেলিভিশনের সঙ্গে কেটে যায় ডে-সুর জীবনের ১৫টা বছর। এরপর হঠাৎই একদিন ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। কে, কেন তাকে ১৫ বছর আটকে রাখল? আবার কেনই বা ছেড়ে দিল? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করে খ্যাপাটে লোকটা। পার্ক চ্যান-য়ুক পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। ২০০৪ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ওল্ড বয় গ্রাঁ প্রি পুরস্কার পেয়েছিল। পাম দ্য’–এর পর এটিই কান চলচ্চিত্র উৎসবের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার।
৩নাম্বারে রয়েছে ঃ
মিরাকল ইন সেল নাম্বার সেভেন -Miracle in Cell No7- হাসি-কান্নার গল্প !
মিরাকল ইন সেল নাম্বার সেভেন একটি কমেডি ছবি। তবে জেনে রাখুন, আপনি যদি খুব কঠিন হৃদয়ের মানুষ না হয়ে থাকেন, তাহলে সম্ভবত হাসির ছবিটি দেখতে বসে আপনাকে চোখও মুছতে হবে!
ছবির গল্প লি ইয়ং-গু নামে এক প্রতিবন্ধী বাবা আর তার মেয়ে য়ি-সিয়ুংকে নিয়ে। ঘটনাচক্রে খুন ও ধর্ষণের মামলায় ফেঁসে যায় লি। জেলখানায় তার জায়গা হয় কুখ্যাত সব অপরাধীর সঙ্গে, ৭ নম্বর সেলে। একসময় সেলের অপরাধীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে লির। তারাই জেলখানার ভেতরে য়ি-সিয়ুংকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে। কুখ্যাত সব অপরাধী আর বাবার সঙ্গে ৭ নম্বর সেলে লুকিয়ে থাকে একটা ছোট্ট মেয়ে।
ছবিতে য়ি-সিয়ুং-এর চরিত্রে অভিনয় করেছে কাল সো-য়োন। {বাচ্চা} মেয়েটির অভিনয় এত অপূর্ব, নিশ্চয়ই ছবি শেষেও তার মায়াকাড়া মুখটা দীর্ঘক্ষণ আপনার মনে গেঁথে থাকবে।
২নাম্বারে রয়েছে ঃ {আই স দ্যা ডেভিল } - i saw the devil
সিনেমাটি সম্পর্কে শুধু এটুকুই বলা যায়, এটি একটি খাঁটি রিভেঞ্জ মুভি। এছাড়া সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, ক্রাইম কিংবা হরর সব উপাদান পাওয়া যাবে এতে। সিনেমাটি আসলে ভয়ংকর এক { প্রতিশোধের }গল্প বলে। সবচেয়ে কাছের মানুষটির হত্যার বদলা নিতে একজন {সিক্রেট} এজেন্ট একটি বিচিত্র পরিকল্পনা করে। সে মনে করে, হত্যাকারীকে শুধু হত্যা করলেই সেটা উপযুক্ত প্রতিশোধ হয় না, তার জন্য দরকার আরও বেশি কিছু। আর এই পরিকল্পনাই তাকে পরিণত করে ভয়ানক এক দানবে, যার নৃশংসতা ছাড়িয়ে যায় ঐ সিরিয়াল কিলারের নৃশংসতাকেও।
সাইকোপ্যাথ সিরিয়াল কিলার হিসেবে অসাধারণ অভিনয় করেছে ওল্ডবয় খ্যাত "চয় মুন সিক"। সিক্রেট এজেন্টের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছে "লি বিইয়ুং হুন", যার চরিত্রের শীতলতায় আপনার মেরুদন্ড বেয়ে ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে যাবে।
আগেই বলে রাখা ভালো সিনেমাটিতে রয়েছে প্রচুর ভয়াবহ অপরাধমূলক দৃশ্য। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত প্রতি মুহুর্তে আপনার মানসিক শক্তির সর্বোচ্চ পরীক্ষা করবে "{আই স দ্যা ডেভিল }"।
সর্বশেষ ১ নম্বর আসনে:
{নো মারসি} ঃ -একটি কোরিয়ান থ্রিলার মুভি। কিছুটা ১৮+ ও আঁৎকে উঠার মতন ভরপুর উত্তেজনায় ঠাঁসা এক মিস্ট্রি ক্রাইম থ্রিলার।
একজন ফরেন্সিক নামজাদা ডাক্তারকে নিয়ে ঘটনার শুরু। প্রায় দু’হাজেরও অধিক ফরেন্সিক রিপোর্ট তৈরীকারী দেশের স্বনামখ্যাত ডাক্তারকে হঠাৎ একদিন তলব করা হয় নদীর পাশে, একটি মেয়ের লাশের ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরী করার জন্য। নাইট ক্লাবের মামুলি মেয়ের লাশটা হঠাৎ করে হয়ে পড়ে দেশের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সংবাদ। আশ্চর্য ব্যাপার ছিলো, মেয়েটির শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সব আলাদা করে কাটা ছিলো। তবে একটা হাত কোথাও পাওয়া যাচ্ছিলো না। এদিকে, ডাক্তারের মেয়েকেও কিডন্যাপ করে খুনী, বিনিময়ে খুনীকে জেল থেকে বের করার চুক্তি করে। ডাক্তার তখন খুনীর প্রমাণ গুম করায় মত্ত থাকে। ফরেন্সিক ডাক্তার থেকে ডিটেক্টিভ সবাইকে পুরোদস্তুর পাগল বানিয়ে ছাড়ে সাইকো খুনী। অথচ, এই খুনীর সাথে ডাক্তারের সম্পর্ক বহু পুরোনো। যা লুকিয়ে আছে ডাক্তারের অতীত জীবনের কিছু কালো অধ্যায়ে। কাহিনীটুকু জানতে আর আপনার কৌতুহল মেটাতে তাই দেখে ফেলুন টান টান উত্তেজনায় ভরা মিস্ট্রি ক্রাইম থ্রিলার সিনেমাটি। আশা করি সময় কিংবা বিরক্তি কোনটিই আসবে না।
ভালো সিনেমার জন্য কোরিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অনেক আগে থেকেই বিখ্যাত। {পরতে পরতে} টুইস্ট এবং কাহিনীর বৈচিত্র্যে দক্ষিণ কোরিয়ান বেশ কিছু সিনেমা হলিউডের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে। উল্লেখিত {ছয়টি} সিনেমা ছারাও কোরিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছে আরো অনেক নামীদামী সিনেমা। সে সকল সিনেমা নিয়ে দেখা হবে আগামি কোন ভিডিওতে।
প্রিয় { বন্ধুরা } আজকের মত এখানেই বিদাই নিচ্ছি।
{ বন্ধুরা } আপনার দেখা সবথেকে সেরা কোরিয়ান সিনেমা গুলো কি কি ? তা অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিন।
আমাদের ভিডিওটি ভালো লাগলে একটি লাইক দিবেন এবং প্রতিদিন আমাদের নতুন ভিডিওর আপডেট সরাসরি পেতে
আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন ও বেল আইকনটিতে ক্লিক করে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ
KoreanMovies,Top10,টান টান উত্তেজনায় ভরপুর ১০টি কোরিয়ান সিনেমা , Top 10 Korean Movies,trendz now,trendz now new,top 10 movies,top 10 movies in bangla,korean movies in bangla,latest korean movies,korean movies 2019,korean movies list,korean movies on netflix,korean movies english dubbed,korean movies action,korean movies about war,korean movies best action,action movies,romantic movies,hit movies,korean best movie,Train to Busan,a moment to remember,Oldboy,Miracle in Cell No7,i saw the devil,No Mercy,সেরা কোরিয়ান মুভি,
আজ আমরা দেখব
সর্বকালের সেরা ৬টি কোরিয়ান সিনেমা, না দেখলে বেঁচে থাকা বৃথা | Top 6 korean Movies !
কোরিয়ার সমৃদ্ধ বিনোদনের বাজারের বড় অংশজুড়ে সিনেমার প্রভাব। জনপ্রিয় ঘরানার বেশির ভাগ কোরীয় ছবি টান টান রোমাঞ্চকর ঘটনাপ্রবাহ দিয়ে আপনাকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখবে। তাদের ভৌতিক, থ্রিলার, অ্যাকশন ঘরানার ছবিগুলো তো হরহামেশাই হলিউডের বড় বড় নির্মাতা ও প্রযোজকেরা অনুসরণ করছেন। এমনই বিশ্ব সেরা {ছয়টি} কোরীয় সিনেমা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের ভিডিও , তো বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক ঃ
৬ নাম্বারে রয়েছে ঃ ট্রেন টু বুসান -Train to Busan- রোমাঞ্চকর এক যাত্রা ঃ
কোরীয় চলচ্চিত্রের সঙ্গে অনেকেরই পরিচয় হয়েছে ট্রেন টু বুসান দিয়ে। জম্বি কাহিনি নিয়ে বানানো হলিউডের ছবিগুলো যদি আপনার কাছে একঘেয়ে লাগতে শুরু করে, তাহলে স্বাদ বদলের জন্য দেখে ফেলুন এই ছবি। সিয়োক-য়ু ও সু-আন, বাপ-বেটির সঙ্গে আপনিও চড়ে বসুন ভয় আর আবেগমিশ্রিত এক রোমাঞ্চকর ট্রেনে!
সারা শহর তখন জম্বি দখলে। এরই মধ্যে সিয়োক-য়ু ও সু-আন যাচ্ছে বুসানে। জম্বি আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করে তারা কি শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে? জানতে হলে ১ ঘণ্টা ৫৮ মিনিটের ছবিটি আপনাকে দেখে ফেলতে হবে। ট্রেন টু বুসান পরিচালনা করেছেন ইয়ন স্যাং-হো।
৫নাম্বারে রয়েছে ঃ {এ মোমেন্ট টু রিমেম্বার} -a moment to remember
অনেকেই তাঁদের দেখা সেরা রোমান্টিক ছবির তালিকায় এ মোমেন্ট টু রিমেম্বারকে ওপরের দিকে রাখেন। ছবিটি অবশ্য সে রকম একটা অবস্থানই দাবি করে। ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া এ মোমেন্ট টু রিমেম্বারে বলা হয়েছে চুল-সু ও সু জিন নামে দুই তরুণ-তরুণীর গল্প। ভালোবেসে বিয়ে করে দুজন। ছবির গল্প মোড় নেয় তখন, যখন সু জিনের {আলঝেইমার} ধরা পড়ে। একে একে সবকিছুই ভুলে যেতে থাকে সে, এমনকি প্রিয়তম স্বামীর মুখটাও! স্ত্রী সবকিছু ভুলে গেছে জেনেও তার হাত ছাড়ে না চুল-সু, সে ঠিকই পাশে থাকতে চায়। ছবি শেষেও আপনার ঘোর কাটতে সময় লাগবে মূলত তিনটি কারণে—প্রথমত, চমৎকার আবহসংগীত। দ্বিতীয়ত, মূল চরিত্রে থাকা জাং য়ু-সাং এবং সন য়ি-জিনের অভিনয়। তৃতীয়ত—ছবির দুর্দান্ত সমাপ্তি।
৪নাম্বারে রয়েছে ঃওল্ড বয় - Oldboy
ওল্ড বয় দেখে অবধারিতভাবেই আপনি ভাববেন—একটা গল্প এমনও হতে পারে! কিছু কিছু ছবি আছে, যা সিনেমা সম্পর্কে আমাদের ধারণা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান আমূল পাল্টে দেয়। ওল্ড বয় সে রকমই একটি ছবি।
ছবির শুরুতেই কে বা কারা যেন অপহরণ করে নিয়ে যায় ছবির প্রধান চরিত্র ডে-সুকে। একটা ছোট্ট ঘরে আটকে রাখা হয় তাকে। সঙ্গী কেবল একটা টেলিভিশন। বদ্ধ ঘরে একটা টেলিভিশনের সঙ্গে কেটে যায় ডে-সুর জীবনের ১৫টা বছর। এরপর হঠাৎই একদিন ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। কে, কেন তাকে ১৫ বছর আটকে রাখল? আবার কেনই বা ছেড়ে দিল? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শুরু করে খ্যাপাটে লোকটা। পার্ক চ্যান-য়ুক পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। ২০০৪ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ওল্ড বয় গ্রাঁ প্রি পুরস্কার পেয়েছিল। পাম দ্য’–এর পর এটিই কান চলচ্চিত্র উৎসবের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার।
৩নাম্বারে রয়েছে ঃ
মিরাকল ইন সেল নাম্বার সেভেন -Miracle in Cell No7- হাসি-কান্নার গল্প !
মিরাকল ইন সেল নাম্বার সেভেন একটি কমেডি ছবি। তবে জেনে রাখুন, আপনি যদি খুব কঠিন হৃদয়ের মানুষ না হয়ে থাকেন, তাহলে সম্ভবত হাসির ছবিটি দেখতে বসে আপনাকে চোখও মুছতে হবে!
ছবির গল্প লি ইয়ং-গু নামে এক প্রতিবন্ধী বাবা আর তার মেয়ে য়ি-সিয়ুংকে নিয়ে। ঘটনাচক্রে খুন ও ধর্ষণের মামলায় ফেঁসে যায় লি। জেলখানায় তার জায়গা হয় কুখ্যাত সব অপরাধীর সঙ্গে, ৭ নম্বর সেলে। একসময় সেলের অপরাধীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে লির। তারাই জেলখানার ভেতরে য়ি-সিয়ুংকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে। কুখ্যাত সব অপরাধী আর বাবার সঙ্গে ৭ নম্বর সেলে লুকিয়ে থাকে একটা ছোট্ট মেয়ে।
ছবিতে য়ি-সিয়ুং-এর চরিত্রে অভিনয় করেছে কাল সো-য়োন। {বাচ্চা} মেয়েটির অভিনয় এত অপূর্ব, নিশ্চয়ই ছবি শেষেও তার মায়াকাড়া মুখটা দীর্ঘক্ষণ আপনার মনে গেঁথে থাকবে।
২নাম্বারে রয়েছে ঃ {আই স দ্যা ডেভিল } - i saw the devil
সিনেমাটি সম্পর্কে শুধু এটুকুই বলা যায়, এটি একটি খাঁটি রিভেঞ্জ মুভি। এছাড়া সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, ক্রাইম কিংবা হরর সব উপাদান পাওয়া যাবে এতে। সিনেমাটি আসলে ভয়ংকর এক { প্রতিশোধের }গল্প বলে। সবচেয়ে কাছের মানুষটির হত্যার বদলা নিতে একজন {সিক্রেট} এজেন্ট একটি বিচিত্র পরিকল্পনা করে। সে মনে করে, হত্যাকারীকে শুধু হত্যা করলেই সেটা উপযুক্ত প্রতিশোধ হয় না, তার জন্য দরকার আরও বেশি কিছু। আর এই পরিকল্পনাই তাকে পরিণত করে ভয়ানক এক দানবে, যার নৃশংসতা ছাড়িয়ে যায় ঐ সিরিয়াল কিলারের নৃশংসতাকেও।
সাইকোপ্যাথ সিরিয়াল কিলার হিসেবে অসাধারণ অভিনয় করেছে ওল্ডবয় খ্যাত "চয় মুন সিক"। সিক্রেট এজেন্টের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছে "লি বিইয়ুং হুন", যার চরিত্রের শীতলতায় আপনার মেরুদন্ড বেয়ে ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে যাবে।
আগেই বলে রাখা ভালো সিনেমাটিতে রয়েছে প্রচুর ভয়াবহ অপরাধমূলক দৃশ্য। শুরু থেকে শেষপর্যন্ত প্রতি মুহুর্তে আপনার মানসিক শক্তির সর্বোচ্চ পরীক্ষা করবে "{আই স দ্যা ডেভিল }"।
সর্বশেষ ১ নম্বর আসনে:
{নো মারসি} ঃ -একটি কোরিয়ান থ্রিলার মুভি। কিছুটা ১৮+ ও আঁৎকে উঠার মতন ভরপুর উত্তেজনায় ঠাঁসা এক মিস্ট্রি ক্রাইম থ্রিলার।
একজন ফরেন্সিক নামজাদা ডাক্তারকে নিয়ে ঘটনার শুরু। প্রায় দু’হাজেরও অধিক ফরেন্সিক রিপোর্ট তৈরীকারী দেশের স্বনামখ্যাত ডাক্তারকে হঠাৎ একদিন তলব করা হয় নদীর পাশে, একটি মেয়ের লাশের ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরী করার জন্য। নাইট ক্লাবের মামুলি মেয়ের লাশটা হঠাৎ করে হয়ে পড়ে দেশের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সংবাদ। আশ্চর্য ব্যাপার ছিলো, মেয়েটির শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সব আলাদা করে কাটা ছিলো। তবে একটা হাত কোথাও পাওয়া যাচ্ছিলো না। এদিকে, ডাক্তারের মেয়েকেও কিডন্যাপ করে খুনী, বিনিময়ে খুনীকে জেল থেকে বের করার চুক্তি করে। ডাক্তার তখন খুনীর প্রমাণ গুম করায় মত্ত থাকে। ফরেন্সিক ডাক্তার থেকে ডিটেক্টিভ সবাইকে পুরোদস্তুর পাগল বানিয়ে ছাড়ে সাইকো খুনী। অথচ, এই খুনীর সাথে ডাক্তারের সম্পর্ক বহু পুরোনো। যা লুকিয়ে আছে ডাক্তারের অতীত জীবনের কিছু কালো অধ্যায়ে। কাহিনীটুকু জানতে আর আপনার কৌতুহল মেটাতে তাই দেখে ফেলুন টান টান উত্তেজনায় ভরা মিস্ট্রি ক্রাইম থ্রিলার সিনেমাটি। আশা করি সময় কিংবা বিরক্তি কোনটিই আসবে না।
ভালো সিনেমার জন্য কোরিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অনেক আগে থেকেই বিখ্যাত। {পরতে পরতে} টুইস্ট এবং কাহিনীর বৈচিত্র্যে দক্ষিণ কোরিয়ান বেশ কিছু সিনেমা হলিউডের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে। উল্লেখিত {ছয়টি} সিনেমা ছারাও কোরিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছে আরো অনেক নামীদামী সিনেমা। সে সকল সিনেমা নিয়ে দেখা হবে আগামি কোন ভিডিওতে।
প্রিয় { বন্ধুরা } আজকের মত এখানেই বিদাই নিচ্ছি।
{ বন্ধুরা } আপনার দেখা সবথেকে সেরা কোরিয়ান সিনেমা গুলো কি কি ? তা অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিন।
আমাদের ভিডিওটি ভালো লাগলে একটি লাইক দিবেন এবং প্রতিদিন আমাদের নতুন ভিডিওর আপডেট সরাসরি পেতে
আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন ও বেল আইকনটিতে ক্লিক করে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন